আব্দুল আল রাকিব || মানিকগঞ্জ
৭ম শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা আক্তার নামে এক কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের দাবি আফরোজা ২ মাসের গর্ভবতী ছিল।প্রেমিক অস্বীকার করার কারণেই আত্মহত্যা করেছে আফরোজা।
গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে আনুমানিক ৭টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দর (টেনারিমোড়) এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহত আফরোজা আক্তার আজগর আলীর মেয়ে এবং গড়পাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে এই বিষয়টি অভিযোগ করে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় বোন সুরমা আক্তার। নিহতের বড় বোন সুরমা গণমাধ্যমকে জানান,পাশের বাড়ির মো:মকুল মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তার বোনের।গত দুই/তিন মাস আগে আমাদের বাড়িতে রাতে সাব্বির ও আমার বোনকে এক ঘরের সন্দেহ জনক ভাবে দেখতে পায়। সে সময় মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছুই বলিনি। শুধু মাত্র সাব্বিরের পরিবার ও আমাদের পরিবারের সদস্য মিলে বিষয়টি মিটমাট করি। এবং ওদের দুজনকে আলাদা করে দেই।এর পরেও সাব্বির আমার বোনকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো বলে জানতে পারি।
নিহত আফরোজার দাদি গণমাধ্যমকে বলেন,গত ২দিন আগে আমদের পার্শ্ববতী বাড়ির ৮ বছরের শিশুকে দিয়ে আমার বোন প্রেগনেন্সির টেস্ট কিট সাব্বিরের কাছে পাঠায়। আমি শুনছি তখন আমি নাতনির কাছে জিজ্ঞেসা করি ঘটনার সত্যতা জানতে। আমার নাতনি আমার কাছে বলে সাব্বিরের সাথে তার এক বছর ধরে প্রেম। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার অবৈধ সম্পর্ক করে সাব্বির। সে জন্য আফরোজার পেটে বাচ্চা আসে। সে পরীক্ষা করার জন্য গোপনে প্রেগনেন্সির টেস্ট কিট (কাঠি) এনে পরীক্ষা করে আমার নাতিন। সেই কাঠিতে দুই দাগ উঠলে নাতনি বুঝে যায় তার পেটে সাব্বিরের বাচ্চা। তখন সেই কাঠিটা আবার সাব্বিরের কাছে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয় গুলি সাব্বির অস্বীকার করলে আমার নাতনী নানান দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তিনি। আমার নাতনির মৃত্যুর জন্য দায়ী সাব্বির। আমরা সাব্বিরের ফাঁসি চাই। এই এসময়ের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত আফরোজার দাদি।
সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আফরোজার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।