নিজস্ব প্রতিবেদক || ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,রোববার ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন,মনোনয়নে নতুনও এসেছে, বাদও পড়েছে। উইনেবল প্রার্থী আমরা বাদ দেইনি।যারা নির্বাচনে জিতবে, যারা ইলেক্টেবল,তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনোনয়নের ব্যাপারটাকে সুনির্দিষ্ট করে এখন বলছি না। কারণ, এর মধ্যে আমরা যে সকল প্রার্থী দিয়েছি, সেসব মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। সেটাও সংশোধনের একটা সুযোগ রেখেছি। এ কারণে আমরা ঠিক করেছি ভিন্নভাবে, জেলা বা বিভাগ ভিত্তিতে প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। আমরা একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করতে চাই।
শরিদদের মনোনয়নের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন,শরিক দলের বিষয়টা আমরা সবাই ধারণ করছি না। কারণ এখানে জোটের বিপরীতে জোট, এখানে অন্য কোনো জোট নাই, যা আমাদের অপজিশন। সে রকম বাস্তব পরিস্থিতি নেই। কাজে আমরা এখন দলীয়ভাবে আমাদের মনোনয়ন দিচ্ছি। শেষ পর্যন্ত যদি প্রয়োজন হয় আমাদের তো সুযোগ আছে। ইসলামিক দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। ইসলামী দলগুলো নির্বাচনে আসবে।
তিনি বলেন, যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তারা ইলেক্টেবল না। উইনেবল না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্য নাই, তাদের আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি না। এর মধ্যে নতুনরাও আছে। নির্বাচনে জিততে পারে, সেটা পুরুষ হোক আর নারী হোক আমরা তাদের মনোনয়ন দেব।
উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী হয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছিল, তাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মনোনয়ন চাইবে, আমরা তাদের মনোনয়ন দিতেও পারি। কারণ, তারা তো কাজ করার সুযোগ পাননি। সেই সুযোগ দেয়ার বিষয়টি যদি আমরা মনে করি, এই প্রার্থী এলাকাকে, পার্টিকে কিছু দিতে পারে, তার এবিলিটি আছে, তার যোগ্যতা আছে, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব।”
তিনি বলেন,বিএনপির এখনো আসার সুযোগ আছে।হয়তো বিএনপি দলীয়ভাবে, জোটগত ভাবে নাও আসতে পারে। বিএনপির ভিতর থেকে অনেকেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। তারা প্রার্থী হিসেবে অনেকেই নির্বাচন অংশ নেবে। শেষ মুহূর্তে ছবিটা কোন পর্যায়ে যায়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।