জিহাদ হোসাইন || স্টাফ রিপোর্টার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৩নং চর মোহনা ইউপির আবদুল হাই কাজী বাড়িত প্রবাসী সোহাগ কাজীর বসতঘরে স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুরাদ বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এমন ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার প্রবাসী সোহাগের প্রতিবেশীরা জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যকার চলা একটি দ্বন্দ্ব থামাতে গেলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয় স্থানীয় প্রভাবশালী সন্ত্রাসী নুর নবী বাহাদুর (৩৬) পরে নুর নবীর ভাই লাতু বাহাদুর যুক্ত হয় সেখানে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাধার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় ইউপি সদস্য মুরাদ। ঘটনার রাতে সাড়ে নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত ভুক্তভোগী সোহাগ কাজীর বসতঘরে ৮০ থেকে ১শ জনের দলবল নিয়ে ভাঙচুর চালায় অভিযুক্ত মুরাদ। হামলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবাসী সোহাগের বাবা হোসেন কাজী (৬৫), আকস্মিক ঘটনায় তিনি হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
হামলার পর প্রাণনাশের হুমকি ও প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছাড়েন প্রবাসী সোহাগের পরিবার। রোববার (৩১ মার্চ) সৌদি আরব প্রবাসী সোহাগ বলেন, আমি কিশোর গ্যাংয়ের মারামারি থামাতে গেলে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় নুর নবী বাহাদুর। সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পরে তার ভাই লাতু বাহাদুর ও তাদের ভাতিজা ইউপি সদস্য মুরাদ নিজেদের দলবল নিয়ে আমার বসতঘরে হামলা,ভাঙচুর চালায়। আমাকে সপরিবারে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি ভয়ে আজ তিনদিন বাড়ি ছাড়া। তাদের ভয়ে মামলাও করতে পারছি না। তারা এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে, রায়পুর থানার ওসিসহ সবাই তাদের দলে। তারা ওসি ও থানাকে জানিয়েই৷ আমার বাড়িতে হামলা করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মুরাদ বাহাদুর বলেন, আমরা হামলা চালিয়েছি। সেদিন সুযোগ পেলে সোহাগসহ তার পরিবারকে হামলা করতাম। তার বাবার দোকানের তালা গতকাল (শনিবার) রাতে ভাঙতে পারিনি, নয়তো লুটিয়ে দিতাম। রায়পুর থানার ওসি জানে, পুলিশ জানে, পুলিশ প্রশাসন আমাদের পক্ষে।
আরেক অভিযুক্ত নুর নবী বাহাদুর বলেন, তাদের কোনো ছাড় নেই। আমরা সুযোগ পেলেই তাদের জবাই করবো।
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।