মামুন রণবীর
নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী কৃষক আনন্দ মেলা। কৃষি ও কৃষকের উন্নতিকরণ এবং সমৃদ্ধির ধারায় গতিশীলতা বৃদ্ধি ও আমূল পরিবর্তনে কৃষকদের নিয়ে ১৪ ও ১৫ই এপ্রিল এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। নেত্রকোণা ১ আসনের সংসদ সদস্য মোশতাক আহমেদ রুহী নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে এই আয়োজন করেন।
দুর্গাপুরের এম.কে.সি.এম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও কলমাকান্দার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এই আয়োজন করা হয়।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ এর প্রথম ও দ্বিতীয় দিন এই মেলা আয়োজন করায় স্থানীয় নাগরিকদের মনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করেছে। এখানে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের এতো বড় উপলক্ষ্য এবারই প্রথম। মেলা ঘিরে ব্যাপক আলোচনা লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেলাকেন্দ্রিক মানুষের পোস্ট,ছবি ও ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।
কৃষক আনন্দ মেলার নানা আয়োজনে ছিল কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রামীণ প্রতিযোগিতা,কৃষি সামগ্রী প্রদর্শনী,পুরস্কার বিতরণী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি, সুকুমার বাউল,ঐশী,লায়লা এবং আভাস ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করে। তাদের সুর,সংগীত,গায়কী শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে গানের আয়োজন চলে মধ্যরাত অবধি।
হাজারো মানুষের সমাগম মেলাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। বিশেষ করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষের আগমন ছিল লক্ষ্যণীয়। কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ সকলেই সমবেত হয়েছেন মেলা প্রাঙ্গণে। শিশুদের নিয়ে নারীরাও এসেছেন,উপভোগ করেছেন কৃষক আনন্দ মেলা।
দুর্গাপুর-কলমাকান্দার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বলছেন এই দুই উপজেলার ইতিহাসে এমন আয়োজন আর কখনোই হয়নি। এটি এই পাহাড়ি অঞ্চলের সেরা আয়োজন। মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ হওয়ায় সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করায় সার্বিক আয়োজন সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
নেত্রকোণা ১ আসনের সংসদ সদস্য ও মেলা উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মোশতাক আহমেদ রুহী বলেন,খাদ্যে আমাদের যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা,সেটা অক্ষুণ্ণ রাখা এবং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের যে অবদান তা মূল্যায়ন ও সম্মান জানিয়েই কৃষক আনন্দ মেলার আয়োজন। আমরা আমাদের এই এলাকাটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবোই।
দুই উপজেলায় কৃষক আনন্দ মেলা উপস্থাপনা করেন রুহানী সালসাবিল লাবণ্য ও নুসরাত জেরিন। আবহমান বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির এমন অনুষ্ঠান প্রতি বছর আয়োজনের দাবি জানান দুর্গাপুর-কলমাকান্দাবাসী।
লেখক : প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা, বঙ্গ জার্নাল।