এস এম জহিরুল আলম চৌধুরী (টিপু)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ফেসবুকের পোস্ট ও মন্তব্য করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরষপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের পাঠান বাড়ি ও ঐক্কি বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হাজীপুর গ্রামের পাঠান বাড়ি ও ঐক্কি বাড়ির দুই যুবকের মধ্যে ফেইসবুকে কমেন্ট নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। বৃহস্পতিবার ঐক্কি বাড়ির প্রয়াত সুরত আলীর ছেলে আরজু মিয়া ও তার মেয়ে আকলিমা বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পাঠান বাড়ির লোকজন। গত দুদিন ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে আশপাশের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় ঘণ্টাখানেক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এতে ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত ২৫ জন আহত হন। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলেও সংঘর্ষের পর বিষয়টি জানতে পারি। ফেসবুকে মন্তব্য করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরাও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করেছি। সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে ২৫ জনের মতো আহত হন।”
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অমিতাভ দাস তালুকদার বলেন, “সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিজয়নগর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিযন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”