বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ আগের তুলনায় কমে এলেও কোন ঘাটতি হয়নি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের বিপিএম৬ অনুযায়ী গত ১২ অক্টোবর পর্যন্ত— স্থিতির ভিত্তিতে দেশে বর্তমানে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা পরবর্তীতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহের অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট দেশের বহির্খাতের চাপ মোকাবিলা করে রিজার্ভের সন্তোষজনক স্থিতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর বাজারমুখীকরণ ও একাধিক হারের পরিবর্তে একক হারের দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ নেওয়া।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য একই সার্কুলার ২০২২ সালের ১৪ জুলাই এবং ২৯ জুলাই জারি করা হয়। এগুলো প্রতিপালনে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। অপ্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের সার্কুলার জারি করা হয়েছে। আর সরকারি বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার-ইনভয়েসিং ও ওভার-ইনভয়েসিং বন্ধের জন্য কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গ জার্নাল/এম আর