1. admin@bongojournal24.com : admin :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস আজ - বঙ্গ জার্নাল
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কথিত সাংবাদিক মামুনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে মানববন্ধন দুর্গাপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করলো সন্ত্রাসীরা নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক নিয়োগে কারসাজি ও অনিয়মের অভিযোগ ইত্যাদির নেত্রকোণা পর্ব প্রচার হবে ২৯ সেপ্টেম্বর বিটিভিতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিন জব্দ, আটক-৭ কলমাকান্দায় অসহায়ের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ কলমাকান্দায় ইউনিয়ন যুবলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা কলমাকান্দায় জাতীয় স্থানীয় সরকার উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরুষ্কার বিতরন দুর্গাপুরে ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন গাইবান্ধায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গুলি ও বন্দুকসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবস আজ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১০৬ বার পঠিত

প্রবীর চৌধুরী রিপন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রু মুক্ত ঘোষণা দেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে শত্রু মুক্ত করতে ৩০ নভেম্বর থেকে জেলার আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় মিত্রবাহিনী পাকবাহিনীর ওপর বেপরোয়া আক্রমণ চালাতে থাকে। ১ ডিসেম্বর আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় ২০ পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়। ৩ ডিসেম্বর আখাউড়ার আজমপুরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সেখানে ১১ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। শহীদ হন ৩ মুক্তিযোদ্ধা। এরই মধ্যে বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী, সিঙ্গারবিল, মুকুন্দপুর, হরষপুর, আখাউড়া উপজেলার আজমপুর, রাজাপুর এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। ৪ ডিসেম্বর পাক হানাদাররা পিছু হটতে থাকলে আখাউড়া অনেকটাই শত্রু মুক্ত হয়। এখানে রেলওয়ে স্টেশনের যুদ্ধে পাক বাহিনীর দুই শতাধিক সেনা হতাহত হয়। ৬ ডিসেম্বর আখাউড়া সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়।

এরপর চলতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করার প্রস্তুতি। মুক্তিবাহিনীর একটি অংশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে এবং মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্ট ডিভিশন রেজিমেন্টের সদস্যরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শহরের চারিদিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় ৬ ডিসেম্বর পাক সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে. এম লুৎফুর রহমানসহ জেলা কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরের করুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ৭ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে পাকিস্তানীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। পরে ৮ ডিসেম্বর কোনও ধরনের প্রতিরোধ ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শত্রু মুক্ত হয়। ৮ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল যুদ্ধের পরিচালনাকারী জহুর আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় পুরাতন কাচারী প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রু মুক্ত হয়।

বঙ্গ জার্নাল ২৪/

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© All rights reserved © 2022 Bongo Journal 24
Theme Customized By Shakil IT Park