দুর্গাপুরে গ্রাম-গঞ্জে এখন চলছে শীতের আমেজ,তাই ক্রেতারা খোঁজ শুরু করেছেন লেপ ও কম্বলের এবং নতুন লেপ-কম্বল যেমন কেনা হচ্ছে, তেমনি পুরোনো লেপ নতুন করে বানিয়েও নিচ্ছেন অনেকে।লেপ-কম্বল বিক্রির দোকান গুলোতে তৈরীর স্থানগুলোতে এমনি দৃশ্য এখন নিত্যদিনের।
কালের আবর্তনে মোটা কাথা ও নকশী কাথার কদর কমলেও ঐতিহাসিক আর ঐতিহ্যের তুলো-রুইয়ের তৈরী
লেপের কদর কমেনি বিন্দুমাত্র। উল্টো শীতে উষ্ণতা ছড়াতে লেপ ও কম্বলের জুড়ি নেই বলেই মনে করে সাধারণমানুষ। প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে।
জানা যায়, শীতের আগমনী বার্তায় ব্যস্ততা বেড়েছে বিভিন্ন লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের এবং লেপকম্বলের রেডিমেড দোকানে। শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম সুযোগ নেই।
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লায় লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এছাড়া শীতের সময় কাঁথা, কম্বল, চাদর বা শাল,
শীতেরটুপি, হাতমোজা, মাফলার, জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহারও বিক্রি বেড়ে যায়।ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনীবার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ুপরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না।কার্তিকের শেষের দিকে এসে শীতের আমেজদেখা যাচ্ছে,ভোরে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে।সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়েগরমে ঘাম ঝরছে বিভিন্ন এলাকার মানুষের। সন্ধ্যানামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণেবাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহারশুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।তবে বেশিরভাগ মানুষই শীতনিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, লেপ-তোষক বানাতে গার্মেন্টেসের ঝুট ও কার্পাস তুলো ব্যবহার করতে হয়একটি সিঙ্গেল লেপ বানাতে ৬৫০-৭০০ টাকা, সেমি-ডাবল লেপ ৭০০-৯০০ টাকা এবং ডাবল লেপ তৈরিতে ৭৫০-১৪০০ টাকা বিক্রি হয়।এরমধ্যে রয়েছে সুতো,কাপড় ও মজুরি ব্যয়।
তবে, তোষক বানানোর ক্ষেত্রে দাম বেশি পড়ে। তুলার মান, পরিমাণ, নারিকেলের ছোবলা ও কাপড়ের ওপর নির্ভর করে একেকটি তোষক তৈরির ব্যয়।তবে আমাদের সকলের একটায় দাবী সরকারি ভাবে এই পেশায় সম্পৃক্ততা যারা রয়েছে প্রশাসন
আমাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে বলে আশা রাখি।
বঙ্গ জার্নাল নিউজ/পলাশ