আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি দুলালকে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৩টায় জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার মির্জাপুর থেকে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক এই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ভিকটিমসহ তার পিতা-মাতা একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভিকটিমের মা একটি গার্মেন্টসে এবং পিতা সাইকেল-রিক্সা মেকানিক হিসেবে কাজ করে। আসামি একই এলাকার একটি গার্মেন্টসে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করত। পাশাপাশি বাসা থাকায় শিশু ভিকটিমের সাথে আসামির মধ্যে চিপস্ ও চকলেট দেয়ার মধ্য দিয়ে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে ভিকটিম এর পিতা-মাতা বাসায় না থাকার সুযোগে দুলাল ভিকটিমকে বিস্কুট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির পাখির ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ভিকটিম চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং আসামি দুলাল পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে গত ৬ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি আসামি গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
তিনি আরও জানান, আসামি দুলাল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার মির্জাপুর উত্তরপাড়া দুর্গম চরে অবস্থান করছে বলে জানা যায়। আভিযানিক দল জামালপুর এলাকায় গমন করলে সেখান থেকেও দুলাল পলায়ন করে। অতঃপর, অভিযানিক দল ওই এলাকায় সাঁড়াশি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৩টার সময় মির্জাপুরের উত্তরপাড়া মোজা কামারের বাড়ির পেছনের ডোবা (পচা পানির ডোবা) থেকে উক্ত চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মো. দুলালকে গ্রেফতার করেন বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি দুলাল ওই দিনে ভিকটিমকে বিস্কুট ও চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে পার্শবর্তী বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দূর্গম এলাকায় গমন করেন। এমনকি কয়েকবার অবৈধভাবে পার্শ্ববতী দেশে গমন করেছেন এবং পালানোর চেষ্টা করেছেন বলেও স্বীকার করেন দুলাল।