মানিকগঞ্জে গ্যাস সংকট উত্তরণে কোনও সুখবর নেই। বরং সংকট দিন বাড়ছে। চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন আবাসিক গ্রাহকেরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ১ ঘণ্টাও গ্যাস থাকে না বাসা-বাড়িতে। বাধ্য হয়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস কিংবা লাকড়ির চুলোতে। মানিকগঞ্জে গ্যাসের এমন দুরবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই।
নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাসের দাবিতে বিগত দিনে মানিকগঞ্জ শহরে নানা ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সাল থেকে পৌর সামাজিক কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যানারে নানা সময়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, তিতাস গ্যাস অফিস ঘেরাও, শহরের বিক্ষোভ, ঝাড়ু মিছিল, মানববন্ধন, পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি ও মামলার মতো অনেক ঘটনাও ঘটেছিল শুধু নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাসের দাবিতে। কিন্ত এতেও কারো কিছু যায় আসেনি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ শহরবাস।
তিতাস গ্যাসের মানিকগঞ্জের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলায় ১২ হাজার ১০২ (মিটারহীন) আবাসিক গ্রাহককে প্রতিমাসে গড়ে ৯০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করতে হয়। অথচ তারা ২৪ ঘন্টায় এক ঘন্টাও গ্যায় পায় না। নিয়মিত গ্যাসের বিল পরিশোধ করা হলে না ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয় তাদের। আর মিটারযুক্ত আবাসিক গ্রাহক (হাসপাতালসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠা) যার সংখ্যা ৪১। এছাড়া তিতাস গ্যাস মানিকগঞ্জ জেলা কার্যলায়ের আওতাভুক্ত ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ১৯টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও ৩৯টি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানেও গ্যাসের তীব্র সংকট রয়েছে।
জানা যায়, ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে সঞ্চালনা পাইপের মাধ্যমে মানিকগঞ্জে এসব গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আশুলিয়া, সাভার এবং ধামরাইয়ের বিভিন্ন শিল্প কারখানা এবং আবাসিক চাহিদা মেটানোর পর অবশিষ্ট গ্যাস মানিকগঞ্জে সরবরাহ করা হয় বলে জানিয়েছেন তিতাস গ্যাস অফিসের এক কর্মকর্তা। যার ফলে মানিকগঞ্জে গ্যাসের চাপ কম।