চার যুগ ধরে ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতো কাঁচা কলাগাছ ও বাঁশ বেশ, রঙ্গিণ কাগজ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতো নিদারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নিদারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মিনার না থাকায় কলাগাছের তৈরী শহীদ মিনার তৈরি করে প্রতিবছর স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হতো। এমন চিত্র উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র দেশের প্রথম ডিজিটাল সংবাদপত্রের ‘ নয়া শতাব্দী’র বিজয়নগর প্রতিনিধি এস এম জহিরুল আলম চৌধুরী টিপু ২০১৯ সালে এ প্রতিষ্ঠানের কলাগাছ, বাঁশ বেত,রঙ্গিন কাগজ দিয়ে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার তৈরী করে যে শ্রদ্ধা জানাতো তা নিয়ে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হয়। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরে ‘ মেট্টোসেম গ্রুপ’ এর দৃষ্টিতে আসে বিদ্যালয়ে সেই ব্যতিক্রম আয়োজনে ভাষা দিবস পালনের চিত্রটি। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে এবিদ্যালয়ে ‘ভাষার ভালোবাসায় চেতনার নির্মাণে, শহীদ মিনার হোক সকল শিক্ষা প্রাঙ্গণে’ এই স্লোগান সামনে রেখে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন মেট্টোসেম গ্রুপ। । মেট্টোসেম গ্রুপের উদ্যোগে দীর্ঘ ৪৮ বছর পর নিদারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি ভাষা শহীদদের স্মৃতিসম্বলিত দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার।
২১শে ফ্রেব্রুয়ারী সোমবার বিকালে মেট্টোসেম গ্রুপের নিজস্ব অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এ উপলক্ষে ভিত্তিপ্রস্তর শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেট্টোসেম গ্রুপের আয়োজনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহেনেওয়াজ পারভীন এর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এস এম জহিরুল আলম চৌধুরী ( টিপু) সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান, মেট্টোসেম গ্রুপের হেড অব ব্রান্ড হুমায়ন মোর্শেদ খান, ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঞা, রির্সোস সেন্টারের প্রশিক্ষক আব্দুস ছাত্তার, সাংবাদিক মৃণাল চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুন নূর প্রমুখ।
শহীদ মিনার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।