লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের ৫দিন অতিবাহিত হলেও ১৯এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত গৃহবধু মোহনাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের সান্দানপুর গ্রামের মসজিদ বাড়িতে। সৃষ্ট ঘটনায় গৃহবধু মা কামরুন নাহার বাদী হয়ে মোহনার স্বামী আবদুর রহমান,শশুর আবুল খায়ের, শাশুড়ী রোকেয়া বেগম ও খালাতো দেবর ফয়সাল সহ ৪জনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের খবর পেয়ে একই দিনে মোহনার শাশুড়ী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই মোশাররফ ও দিবাকর রায় এবং এএসআই হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত মিজানুর রহমানের একমাত্র মেয়ে মোহনার সাথে একই ইউপির সান্দানপুর গ্রামের মসজিদ বাড়ির আবুল খায়েরের প্রবাসী ছেলে আবদুর রহমানের সাথে পারিবারিক ভাবে গত ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের ৪/৫ মাস পর থেকে স্বামী শশুর,শাশুড়ী,ভাসুর,খলাতো দেবর বাপের বাড়ি থেকে ফার্নিচার সহ ও ম্বামী রহমান বিদেশে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ৪লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য মোহনার উপর মানষিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে মোহনা এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিবপুর বাপের বাড়িতে চলে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ এপ্রিল রাতে মোহনার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে স্ত্রী মোহনাকে সান্দানপুর স্বামীর বাড়ি চলে যেতে বলে। যদি না যায় তাহলে তাকে তালাকের হুমকী দেওয়া হয়। মোহনা স্বামীর কথামত ১৪এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সান্দানপুর চলে যায়। পরে রাতে মোহনা খাওয়া শেষে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমানোর পর থেকে আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপােের গৃহবধু মোহনার মা কামরুন নাহার জানান, জামাই আবদুর রহমান বিদেশ থেকে ফোনে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে সান্দানপুর নিয়ে গেছে। রাত ৯টায় মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে ভাত খাওয়ার পর থেকে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা করতেছে। এই বলে ফোন কেটে দেয়। পরে তার শাশুড়ী রোকেয়া ভোররাতে ফোন দিয়ে বলে মোহনাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
গৃহবধু মোহনার শাশুড়ী রোকেয়া বেগম জানান, রাতের খাবার শেষে ঘুমানোর পর আমরা তাকে খুজে পাচ্ছি না। তাকে না পেয়ে আমরা থানায় নিখোজ ডায়েরী করেছি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, দুপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।