প্রাইভেটকারে আজ বিকেলের যাত্রাটা যে তাদের শেষ যাত্রা হবে সম্ভবত তারা কেউই এটা ভাবেননি। রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড় সংলগ্ন সড়ক তখন পার হচ্ছিলো তাদের প্রাইভেটকারটি। হঠাৎ বিআরটির প্রকল্পের একটি গার্ডার তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারের ওপর এসে পড়ে। মুহূর্তেই দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। ভেতরে চাপা পড়ে যাত্রীরা। গার্ডারটি উপর থেকে পড়ায় কোনকিছু বোঝার বিন্দুমাত্র সময়ও অবশিষ্ট ছিল না। নিভে যায় ৫টি জীবন।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে
হৃদয় (২৫) ও রিয়া মনির (২১) বিয়ে হয়েছে গেল শনিবার। আজ ওই প্রাইভেটকারে চেপে স্বজনরা নবদম্পতিকে কনের বাবার বাড়ি আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। হৃদয়ের পরিবার দক্ষিণখান থানার কাওলা ওলাকার বাসিন্দা।
হৃদয়ের চাচাতো ভাই রাকিব (১৯) বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি দূর্ঘটনার খবর পান। ওই প্রাইভেটকারে সাত জন ছিলেন। তারা হলেন হৃদয়,তার স্ত্রী রিয়া মনি, হৃদয়ের বাবা রুবেল, হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা, রিয়া মনির খালা ঝরনা, ঝরনার দুই শিশু সন্তান জান্নাত ও জাকারিয়া। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে হৃদয় ও রিয়া। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি পাঁচ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।
গণমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাকিব বলেন, এতো সময় পরও গাড়ি থেকে মরদেহগুলো বের করতে পারেনি উদ্ধারকারীরা। ভেতরে যদি কেউ বেঁচে থেকেও থাকেন তাহলে এতক্ষণে মারা গেছেন। সরকার কিভাবে এতো অব্যবস্থাপনার মধ্যে কাজ করছে? আমরা কার কাছে বিচার দিব। আমাদের অন্তত লাশগুলো বের করে দিক।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে ঘটনাস্থলে বড় ক্রেন আনার চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই প্রাইভেটকার থেকে লাশগুলো বের করে আনা হবে।