দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা শুভ্র আর নেই।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা গেছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে কুল্লাগড়ার রাশিমণি বাজার এলাকায় একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে।
পরে তাকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,ওই এলাকার কাজল মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালের ভাই বদিউজ্জামান বদির কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা কথা বলতে গেলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এরপর সুব্রত সাংমা চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের দিকে আসতে থাকে।
শিবগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। তারা সুব্রত সাংমাকে লোহার রড ও পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরো অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে হাজির হলে আদালত ১২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
সুব্রত সাংমার মৃত্যুর ঘটনায় দুর্গাপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন অনেকে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রেমন্ড আরেং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন,”কুল্লাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা (শুভ্র) রাজনীতির কারণে মারা-ই গেলো। আওয়ামী লীগ বাঁচিয়ে রাখতে পারলো না তাঁকে বিএনপি’র থাবা থেকে।”
দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “আমরা গভীরভাবে শোকাহত।স্বাধীনতাপক্ষ সরকারের আমলে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আজ সময় এসেছে প্রতিবাদের। শুভ্র সাংমার হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদদের দ্রত আইনের আওতায় আনা হোক। শুভ্র সাংমার আত্নার শান্তি কামনা করি।”
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় নাগরিক হিরন মিয়া বলেন, “এই মৃত্যু মেনে নেওয়ার মত না। এটা কি হয়ে গেলো! কুল্লাগড়াবাসী এখন থেকে বুঝবে আমরা কি হারিয়েছি।”
নূরে আলম হুমায়ূন বলেন,”এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। হত্যার সাথে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক,জোরালো দাবি জানাই।”